Download Now

Monday, 5 October 2015

 [যৌন টিপস] আপনার পুরুষাঙ্গ কি ছোট? বিজ্ঞানীদের নতুন বিষ্ময়কর তথ্য!



ব্রিটিশ জার্নাল অব ইউরোলজিতে
সম্প্রতি এক রিসার্চের ফলাফল প্রকাশিত
হয়েছে, যা রীতিমতো চমকপ্রদ এবং মানব
ইতিহাসে বিজ্ঞান ও চিকিৎসা শাস্ত্রে নতুন
এক তথ্য সন্নিবেশিত হবে সন্দেহ নেই।
ব্রিটিশ জার্নাল অব ইউরোলজিতে এম আই
নরমাল…. শিরোনামে বিস্তর গবেষণা
ধর্মী এক রিসার্চ এর ফলাফল প্রকাশিত
হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মানুষ মাত্রই বিশেষ করে
পুরুষেরা নিজেদের গোপনাঙ্গে আকার নিয়ে
দ্বিধা দ্বন্ধ, মানসিক এক ধরনের
উত্তেজনা, অসুস্থ্যতা কিংবা চিন্তায়
আচ্ছন্ন বা ভুগে থাকেন। যাদের পুরুষাঙ্গের
আকার লম্বা তারা মনে করে থাকেন, তাদের
যৌন মিলনে সঙ্গিনী বা স্ত্রীকে পূর্ণ
সুখভোগ দিয়ে থাকেন বা সক্ষম।
পক্ষান্তরে এমনও পুরুষ আছেন যারা
অসুস্থতায় বা দুঃচিন্তায় ভোগেন
পুরুষাঙ্গের সাইজ ছোট হওয়ার কারণে তারা
তাদের স্ত্রী, পার্টনারকে পূর্ণ সুখ যৌন
মিলনের সময় হয়তো দিতে সক্ষম নন- এই
দুই ধরনের মানসিক বৈকল্য বা এক ধরনের
সাইকোলজিক্যাল এফেক্ট মানবদেহ ও মনে
ক্রিয়া করে থাকে।
বিজ্ঞানী বা গবেষকেরা কিন্তু এই দুই
অবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত এক চিত্র বা
ফলাফল পেয়েছেন। সম্প্রতি ইউকের একদল
গবেষক এবং কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির
লিড গবেষক জেমস শেরলকসহ তারা বিশাল
এক মানবগোষ্ঠীর উপর গবেষণা
চালিয়েছেন। তাদের গবেষণায় তারা পুরুষের
পুরুষাঙ্গের আকার ছোট কিংবা লম্বা ও
বড় পুরুষাঙ্গ তার সঙ্গিনীর যৌন মিলনে
কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারে তা গভীর
পর্যবেক্ষণ-বিশ্লেষণ করেছেন। ১৫,০০০
পুরুষের পেনির সাইজ তারা যেমন পরীক্ষা-
নিরীক্ষা করেছেন একই সাথে ৫০,০০০ উভয়
লিঙ্গের মানুষের উপর গবেষণা, তথ্য,
উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন।
গবেষণাকালে ১৫,০০০ বিভিন্ন গ্রুপ, ধর্ম,
গোত্র ও এথনিক মাইনোরিটির পুরুষের
সাইজ তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও
পরীক্ষাগারে বিশ্লেষণ করেছেন। তাদের এই
এথনিক গ্রুপের মধ্যে ছিলো অধিকাংশ
ইউরোপীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের পুরুষ। আফ্রিকা
ও এশিয়ার বৃহৎ গ্রুপ এর বাইরে রয়ে গেছেন,
যার ফলে আরো অধিক বৃহৎ আকারে
গবেষণা হয়তো শেষ পর্যন্ত আরো করা
লাগতে পারে- এমন কথাও তারা বলেছেন। এই
১৫,০০০ পুরুষের মধ্যে গবেষকদল এভারেজ
পেনির সাইজ মুসলমানিসহ ও ছাড়া ১৩.১২
সেন্টিমিটার থেকে ১১.৬৬ সেন্টিমিটার
পেয়েছেন। এই গ্রুপের মধ্যে অধিকাংশের
সার্জারির পরেও এই এভারেজের সাইজের
নীচে পড়েনি।
এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের রিসার্চাররা
বলছেন, এই পুরুষাঙ্গ যখন স্ত্রীর লিঙ্গের
যোনীর মধ্যে ঢুকে স্পার্ম ডেলিভারি করে
থাকেন- সকল পুরুষের ও স্ত্রীর ক্ষেত্রে
একই অবস্থান ও নিয়ম থাকা সত্যেও কেন
পুরুষেরা তখনো যোনীর ভিতরে ঢুকানোর
পরেও তারা তাদের পেনির সাইজ ছোট
কিংবা বড় আকারের সাইকোলিজিক্যাল
ডিসওর্ডারে ভোগেন।
তারা বলছেন, মানুষের স্বভাবজাত গুণ
হলো, তারা মনে করে পেনির সাইজ বড় বা
লম্বা হলেই বোধ হয় যৌন সুখী হওয়া যায়
বা স্ত্রী কিংবা পার্টনার বেশী সুখ লাভ
করে থাকে। আর এ চিন্তা চেতনা থেকেই
যাদের সাইজ ছোট তারা এক ধরনের
হীনমন্যতায় ভোগেন। আসলে কী তাই?
তারা বলছেন, বিশাল গরিলার পেনির সাইজ
মাত্র ১.৫ ইঞ্চি। অথচ তার সুখানুভূতির বা
স্ত্রী গরিলার অর্গানিজমে কোন সমস্যা
হয়না।মানুষের মাথায় সব চেয়ে দ্রুত এবং
সহজেই খেলে চলে পেনির সাইজ লম্বা হলেই
নারীর অর্গানিজম সহজেই হবে। গবেষণা কী
বলছে? তারা বলছেন, কম্পিউটারে ফিমেল
রেইট থ্রি-ডি কম্পিউটার জেনারেটেড
ইমেজসহ গবেষণার ফলে তারা দেখতে
পেয়েছেন, পেনির সাইজ আকারে কিংবা
লম্বায় ছোট কিংবা বড় যৌন মিলনের
সুখের ক্ষেত্রে কোন বাধা নয়।
অধিকাংশ নারী জানিয়েছেন, পেনির সাইজ
নিয়ে তারা মোটেই চিন্তিত নন। তারা
তাদের সঙ্গীর বর্তমান সাইজ নিয়ে খুশী।
প্রশ্ন উঠতেই পারে বড় আকারের পেনি
ভালো বা উত্তম কিনা। আদতে রিসার্চে
সেরকম কোন ফল আসেনি।
গবেষকরা পেয়েছেন, যৌন মিলনের সময়
নারীর অংশগ্রহণ এবং উৎসাহ উদ্দীপনা ও
সহযোগিতাই আসল। নারী কিভাবে বিছানায়
খেলেন, তার উপরই তার অর্গানিজম নির্ভর
করে। দেখা গেছে, ছোট সাইজের পেনি দিয়ে
যৌন মিলনের মাধ্যমে নারীর পূর্ণ
অর্গানিজম হয়েছে। তবে লম্বা পেনির জন্য
প্রয়োজন ডিপার ভেজিনা বা গভীরতা,
যাতে পুরোপুরি ঢুকানো যায়।
৫০,০০০ উভয় লিঙ্গের মানুষের মধ্যে ৮৫%
বলেছেন তারা তাদের সঙ্গীর পেনির সাইজ ও
রিলেশন ও ইন্টারকোর্স নিয়ে খুবই তৃপ্ত।
এর মধ্যে ৫৫% পুরুষ তাদের পেনির সাইজ
ছোট নিয়ে সুস্পষ্ট মতামত দিয়েছেন।
স্টাডিতে তারা দেখেছেন, নারীর
অর্গানিজমের ব্যাপারে পেনির সাইজ খুব
একটা সম্পর্কিত নয়। তবে একই স্টাডির
অন্য অংশে বলা হয়েছে ভ্যাজিনার ভিতরের
টিস্যুর অংশ যা পেনির সাথে ঘর্ষিত হয়,
তার সাথে অর্গানিজমের রিলেশন আছে- যদি
তাই হয় তাতে লম্বা পেনির ভুমিকা রয়েছে
বলে তারা মনে করছেন, তারপরেও তারা
ফাইনাল কনক্লোশানে উপনীত হননি।
বলেছেন যদি তাই হয় এবং সাজেস্ট করেছেন
এশিয়া ও আফ্রিকান পুরুষের পেনি ও
নারীদের ভ্যাজিনার মধ্যকার সম্পর্কিত
স্টাডি আরো বড় আকারে করার।
তবে সব চাইতে বড় যে তথ্য তারা দিয়েছেন
তা হলো পেনির সাইজ কিংবা ভ্যাজিনার
গভীরতা যাই হউক, আসল বিষয় হলো
কনফিডেন্ট ডেভেলপ বা বিল্ড করার মধ্যে
সাইকোলিজিক্যাল বড় রকমের এক রহস্য
নিহিত- নারী পুরুষের পূর্ণ সেটিসফেকশনের
জন্য।
তাদের গবেষণার শেষ অংশে তারা উল্লেখ
করেছেন, মাত্র ৩% লোকের মধ্যে পেনির
সাইজ তারা নর্মাল বা এভারেজ সাইজ থেকে
কম সাইজের পেয়েছেন, অর্থাৎ সর্বশেষ
তথ্যমতে ৯.৫ সেন্টিমিটার থেকে ১০
সেন্টিমিটার লম্বা সাইজ তারা পেয়েছেন এবং
এই সাইজকেই তারা ধরেছেন পুরুষের
স্বাভাবিক পেনির সাইজ থেকে ছোট
সাইজের পেনি যা অস্বাভাবিক ধরনের, যদিও
এই সাইজের পেনির দ্বারাও পূর্ণ সম্ভোগ
সুখের ও নারীর অর্গানিজমের প্রমাণ
স্বাভাবিক পেয়েছেন, তাতে মনে হয়না ছোট
আকারের খুব একটা ব্যবধান আছে।
তারা এই পর্যায়ে এসে বলেছেন, এই ছোট
সাইজ হওয়ার কারণে এটা কেবল তাদের
মনস্তাত্ত্বিক এক চিন্তায় ভোগেন আর
কিছু নয়। এতে নারীর অর্গানিজমের কোন
ব্যাঘাত ঘটেনি। এর পরেও যদি নিজেকে
অপরাধী ফিল করেন তাহলে তারা যেন যেন
বৃহৎ আকারের গরিলার দিকে তাকান, যার
অসম্ভব এক ছোট সাইজের পেনি রয়েছে।
(ব্রিটিশ জার্নালিজম অব ইউরোলজি
অবলম্বনে)















0 comments:

Post a Comment